কোরীয় প্রেসিডেন্টের অভিসংশন চাইলেন কে পপ তারকারাও

বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার মধ্যে প্রেসিডেন্টের অভিশংসনের প্রশ্নে কে পপ তারকারাও সোচ্চার হয়েছেন। কে পপ গায়িকা লে চে ইউন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ‘একজন নাগরিক হিসেবে আমার সিদ্ধান্তটা আমিই নেব। আমি যা বলতে চাই, তা–ই বলব। আমি একজন পাবলিক ফিগার, ফলে আমার কথা বলা উচিত।’

আরেক কে পপ তারকা ইয়ংজে প্রেসিডেন্টের অভিসংশনেরর প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন তিনি। কে পপ তারকাদের মধ্যে উইয়ং, হেইজু, জিউন সে উনসহ আরও অনেকে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন।

এর আগে গত শনিবার ‘অপরাধী প্রেসিডেন্টকে সরান ও গ্রেপ্তার করুন’ শীর্ষক এক বিবৃতি দিয়েছে দেশটির ৭৭টি চলচ্চিত্র সংগঠন।

স্বাক্ষরদাতাদের মধ্যে কং ডং উন, কিম গো ইউন, পার্ক ইউন বিনসহ আরও অনেক তারকা রয়েছেন। নির্মাতারা বলছেন, ইউন সুক–ইওলকে বরখাস্ত করে বিশৃঙ্খরা দূর করা দরকার। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা জরুরি ভিত্তিতে তাঁকে বরখাস্ত, অভিসংশন ও গ্রেপ্তারের দাবি করছি।’

যদিও এই ইস্যুটি সমালোচিত হয়েছিল, পপ সঙ্গীত তারকারাও রাষ্ট্রপতির অভিশংসনের বিষয়ে কথা বলেছেন। "একজন নাগরিক হিসাবে, আমি আমার নিজের সিদ্ধান্ত নেব," কে-পপ গায়ক লি চে-ইয়ন সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। আমি যা বলতে চাই তাই বলি। আমি একজন পাবলিক ফিগার, তাই আমাকে কথা বলতে হবে। "

আরেক কে-পপ তারকা ইয়ংজাও প্রেসিডেন্টের অভিশংসনকে সমর্থন করেছেন। উইয়ং, হাই জু এবং জং সিও ইউন সহ অনেক কে-পপ তারকা রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে কথা বলেছেন।

এর আগে শনিবার দেশের ৭৭টি চলচ্চিত্র সংগঠন ‘অপরাধী প্রেসিডেন্টের অপসারণ ও গ্রেফতার’ শিরোনামে বিবৃতি দিয়েছে।

স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে গং ডং ওং, কিম গো ইউন এবং পার্ক ইউন বিনের মতো তারকারা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। প্রযোজকরা জোর দিয়েছিলেন যে ইউন সিওক ইওলকে বরখাস্ত করা উচিত এবং সমস্যা সৃষ্টিকারীদের সরিয়ে দেওয়া উচিত। বিবৃতিতে বলা হয়েছে: "আমরা তার অবিলম্বে অভিশংসন, পদ থেকে অপসারণ এবং গ্রেপ্তারের আহ্বান জানাচ্ছি।"

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সিওক-ইওল সামরিক আইন জারি করার জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।