চাঁদাবাজিসহ অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ঢাকা উত্তরের কেন্দ্রস্থলে বিএনপির গঠনতন্ত্র কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। মাত্র আড়াই মাস পর এই কমিটি বিলুপ্ত করা হয়।
গত শনিবার সন্ধ্যায় দলটির সহ-সাধারণ সম্পাদক রুহ আল-কবীর রাজাভী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই কমিটি বিলুপ্তির ঘোষণা দেওয়া হলেও কারণ জানানো হয়নি।
যাইহোক, ৫ আগস্ট প্রথম আলোতে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর, একাধিক কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা ঢাকা ক্যাপিটাল জেলা উত্তর কমিটির আহ্বায়ক সাইফুল আলম নিরোর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন আচরণ লঙ্ঘনসহ অনৈতিকতার অভিযোগ তোলেন, যা শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে সন্দেহ প্রমাণিত হয়। পার্টি উত্তর রাজধানী জেলা কমিটি ভেঙে দিয়েছে।
সাইফুল আলম এসব অভিযোগ অস্বীকার করে নীরব কালের পতিদিন কে বলেন, ‘আমার প্রতিপক্ষরা ইতিমধ্যেই আমাকে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করছে, কিন্তু আমি কোথায় ব্ল্যাকমেইল করেছি, কার বাড়িতে, দোকানে থাকতাম তার কোনো প্রমাণ নেই।
আড়াই মাস আগে গত ৭ জুলাই ঢাকা উত্তর রাজধানী অঞ্চল কমিটির আংশিক সমাবর্তনে সাইফুল আলম নীরবকে চেয়ারম্যান ও আমিনুল হককে সদস্য সচিব পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। এই কমিটি এখন ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
কমিটি ভেঙে দেওয়ার বিষয়ে সাইফুল আলম বলেন, “আমি দলের সিদ্ধান্তকে সম্মান করি। তিনি আগের মতোই দলে কাজ করে যাবেন।”
খুলনা থেকে বহিষ্কৃত চার নেতা
দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ ও দলীয় নীতিমালা লঙ্ঘনকারী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগে খুলনা থেকে বিএনপির চার নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
গত শনিবার সন্ধ্যায় বিএনপির খুলনা ক্যাপিটাল সিটির চেয়ারম্যান শফিকুল আলম (মনা) ও সদস্য সচিব শফিকুল আলম (তুহিন) এর বরাত দিয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ চারজনকে বহিষ্কারের তথ্য জানান।
বহিষ্কৃত নেতারা হলেন, ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য শেখ আইনুল আবেদীন মারুফ। খুলনা নগর পৌরসভার ১৪ নং ওয়ার্ডের বিএনপির সদস্য ও ড. 9. সুমন খোয়াদ্দার, বিএনপির যুগ্ম সংগঠক নং ওয়ার্ড থেকে। ১৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির হাবিবুর রহমান বিপুল ও মো. 9. কর্মচারী শেখ সোহেল বাসার।
এর আগে গত ১১ আগস্ট খুলনা মহানগর বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ১৪ নেতাকে বিশেষ নোটিশ দেয় খুলনা মহানগর বিএনপি। এরপর ১৪ আগস্ট দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে খুলনা নগর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের চার নেতাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।